কৃষক-খেতমজুর সাংগঠনের শক্তিহীনতার কারণে প্রতিটি সরকারই কৃষক- খেতমজুদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে পারে। তাদের নিয়ে প্রহসন করতেও তারা কম যায়না। কামলা দেয়ার নামে ক্ষমতাসীনদের ফটোসেশন তার প্রমান। কৃষক ধান কাটার লোক চায়না, ধানের লাভজনক মূল্য চায়। তার বদলে মন্ত্রী কর্তা ব্যক্তিরা কামলার দাম বেশী হয়ার আজগুবী দোষ খুঁজে পেয়েছেন।
কৃষক-খেতমজুরকে পরস্পরের মুখোমুখি দাড় করাচ্ছেন এই ধান কাটা খেতমজুর বছরে ছয়মাস কাজ না পেয়ে দিন কাটায়। শহরে এসে রিক্সা চালায়, ইটের ভাটায় কাজ করে কিছু উপার্জন করে জীবন বাচায়। কৃষককে নিয়ে এ ধরনের প্রহসনের খেলা বন্ধ করতে হবে। তার জন্য তাই আন্দোলন ও সংঠন গড়ে তুলতে হবে। কৃষক- খেতমজুর কনভেনশন সেই লক্ষ্যে কার্য্যকর ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
শনিবার জাতীয় কৃষক সমিতি ও খেতমজুর ইউনিয়নের উদ্যোগে অনুষ্ঠিতব্য ১৫ জুনের কৃষক- খেতমজুর কনভেনশনের সংগঠকদের উদ্দেশ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন একথা বলেন।
দেশের জনসংখ্যার বৃহদাংশ কৃষকের স্বার্থ রক্ষার্থে সরকার যদি কার্যকর ব্যবস্থা না নেয় তা হলে কৃষক কেবল ক্ষেতেই আগুন দেবেনা, ভারতের কৃষকের মত মৃত্যুর পথ বেছে নেবে বলে সর্তক করে দিয়েছেন সরকারের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
মেনন আরো বলেন, বিদ্যুৎ, মেট্রোরেল, বন্দর নির্মানের মেগা-প্রকল্পের মত কৃষি পন্য গুদামজাতকরনের জন্য কৃষি ক্ষেত্রেও প্রতি ইউনিয়নে সাইলো নির্মানের মেগা-প্রকল্প এই বাজেটেই নিতে হবে। রপ্তানির নামে চালকল মালিক ও রপ্তানিকারদের প্রনোদনার নামে অর্থ দেয়ার পরিবর্তে কৃষকের পন্য সংরক্ষন ও বিপণনে ভতুর্কি দানই হবে যুক্তিযুক্ত।
সূত্রঃ নয়াদিগন্ত